Tổng quan কাজী নজরুল সমগ্র
কাজী নজরুল ইসলামের রচনা সমগ্র। এই অ্যাপসে পাবেন - উপন্যাস কবিতা গল্প গান নাটক প্রবন্ধ পত্রগুচ্ছ অনুবাদ
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬) বস ্তুনিষ্ঠ জীবনী লেখার প্রয়াস চালিয়েছেন অনেকই ই। বিশিষ্ট গবেষক মোরশেদ শফিউল হাসান বর্ণাঢ্য কব িজীবনকে সব শ্রেণির পাঠকের জন্য সহজ করে, প্রামা ণ্যতা অক্ষুণ্ন রেখে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন তাঁর নজরুল জীবনকথা বইয়ে। ৩২টি অধ্যায়ে সাতাত্তর বছরের এক মহাজীবনকে তি নি ধাপে ধাপে বর্ণনা ও ব্যাখ্যা করেছেন।
নজরুলের জন্মগ্রাম চুরুলিয়ার নিকটবর্তী সাঁও তাল পরগনার বিদ্রোহী প্রতিবেশকে লেখক বিদ্রোহী নজরুলের প্রাথমিক চেতনাভূমি হিসেবে শনাক্ত করে ন:
‘নজরুলের জন্মের দশ বছর আগেই এই অঞ্চলে ঘটে মুন্ ডা বিদ্রোহ। এসব বিদ্রোহের গল্প ও গান চুরুলিয়া ও এর আশপাশ ের অঞ্চলের, বিশেষ করে একটু বেশি বয়সী মানুষের ম ুখে মুখে ফিরত। বিদ্রোহী কবি নজরুল তাঁর ছোটবেলায় এসব লড়াই-স ংগ্রামের গল্প শুনেছেন বলে মনে হয়। তাঁর মনের গঠনে নিশ্চয়ই তা কমবেশি প্রভাব ফেলে ছিল।
শিয়ারশোল স্কুলের দুজন শিক্ষক-সতীশচন্দ্র কা ঞ্জিলাল ও হাফিজ নূরন্নবীর কথা আমাদের বিশেষভাব ে মনে করিয়ে দেন লেখক; যাঁদের কাছ থেকে হিন্দুপুরাণ ও মুসলিম ঐতিহ্যে র সমন্বয়ী সুর উপহার পেয়েছেন কবি।
এ বছরের ডিসেম্বরে নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা রচন ার শতবর্ষ পূর্ণ হবে। ১০০ বছর আগে এই কবিতা লেখার সেই স্মরণীয় রজনী য েন ছবির মতো অক্ষরে এঁকেছেন মোরশেদ শফিউল হাসান:
বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির যে ঘরটিতে নজর ুল ও মুজফফর আহমদ থাকতেন, সেখানে বসেই ১৯২১ সালের বড়দিনের ছুটির সময় এক রাতে নজরুল তাঁর “বিদ্রো হী” কবিতাটি লেখেন। কবিতাটি তিনি প্রথমে লেখেন পেনসিল দিয়ে। সেকালে সেকালে ফাউন্টেন ছিল ছিল না।।।।। দোয়াতে বারবার কলম ডুবিয়ে লিখতে হতো। মুজফফর আহমদের মতে, এভাবে লিখতে গিয়ে পাছে তাঁ র ভাবনায় ছেদ পড়ে, তাই নজরুল পেনসিল দিয়েই পুর ো কবিতাটি লিখেছিলেন।
এ বছর নজরুলের কুমিল্লা আগমনেরও শতবর্ষ। তাঁর জীবন ও সৃষ্টিতে ‘কুমিল্লা’ এক বিশিষ্ট অধ্ যায় হয়ে আছে। ১৯২১ সালে কয়েক দফা কুমিল্লা আগমন ও অবস্থান, দ ুই ভুবনের দুই নারী—নার্গিস ও প্রমীলার সঙ্গে সহ ৃদয় সংযোগের পাশাপাশি তৎকালীন কুমিল্লার বিপ্ল বী আবহে লেখক তুলে ধরেছেন নজরুল ইসলামকে:
সময়টা তখন অসহযোগ আন্দোলনের। মহাত্মা গান্ধীর ডাকে সারা দেশে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সে আন্দোলনের ঢেউ ত্রিপুরার মহকুমা শহর কুমিল্ লাতেও এসে লেগেছে। নজরুলকেও এ সময় রাজনৈতিক নানা সভা-মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেল। মিছিলের সামনে গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে নিজ ের লেখা গান গাইতে গাইতে শহর প্রদক্ষিণ করছেন তিদ ি। Bạn có thể nói như vậy:
Xin chào! Xin chào!
ফিরে চাও ওগো পুরবাসী
সন্তান দ্বারে উপবাসী
লেখক নজরুলের জীবনী লিখতে গিয়ে তাঁর সমসাময়ি ক কাল সম্পর্কেও সম্পূর্ণ সচেতন। তাই ধূমকেতু পত্রিকায় ১৯২২-এর ১৩ অক্টোবর ভারত ের পূর্ণ স্বাধীনতা চেয়ে লেখা নজরুলের সম্পাদক ীয় প্রবন্ধের কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি উর্দু ক বি ও রাজনীতিক হসরত মোহানির প্রসঙ্গ, যিনি এর আগে ১৯২১-এর ডিসেম্বরে একই দাবি উত্থাপন করেছিলেন:
‘যত দূর জানা যায়, বাঙলা দেশে নজরুলই প্রথম, এমনক ি সমগ্র ভারতবর্ষেও মওলানা হসরত মোহানির পর দ্ব িতীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, যিনি প্রকাশ্যে পূর্ণ স্ বাধীনতার দাবি জানান।’
হুগলিতে বসবাসকালে হুগলি, নৈহাটির শ্রমিকদের ক বিতা পড়ে শোনানো, তাঁদের শ্রান্তি বিনোদনের জন্ য বাংলা ও হিন্দি গান গাওয়া, চটকল শ্রমিকদের ধর্ মঘটের সমর্থনে মিছিলে নামার তথ্য প্রমাণ করে নজ রুল শুধু লেখাতেই নয়, বাস্তবেও ছিলেন মাটির কাছা কাছি কবি।
নজরুলের প্রাণছোঁয়া অনুবাদ বিষয়ে লেখকের পর Ví dụ: ‘এই অনুবাদটি করার সময় নজরুল ইউজেন ্ততন তিয়েরের লেখা মূল ফরাসি গানটির কিংবা তার ইংরে জি বা অন্য কোনো অনুবাদের নোটেশন বা স্বরলিপি দেখ ার সুযোগ পাননি। তার পরও নজরুলের অনুবাদ সম্পর্কে মুজফফর আহমদ ব Ví dụ: “বাংলা ভাষায় সর্বোৎকৃষ্ট তো বটেই, আমার ব িশ্বাস ভারতীয় ভাষাগুলিতে যতসব অনুবাদ হয়েছে সে-সবের সেরা”।’
নজরুল-জীবনের অনেক অজ্ঞাত বা স্বল্পজ্ঞাত তথ্য ের সমাহার এই বই। যেমন ১৯২৯ সালে এক কৃষক সম্মেলনে কুষ্টিয়া সফর কালে চারণকবি মুকুন্দ দাসের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ও সখ্যের বিবরণ পাই: ‘নজরুলের কুষ্টিয়া অবস্থান কালীন কুমারখালীতে তাঁকে একটি সংবর্ধনা দেওয়া হয়। চারণকবি মুকুন্দ দাস সে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপ স্থিত ছিলেন। সংবর্ধনার উত্তরে দেওয়া বক্তৃতায় নজরুল মুক ুন্দ দাসকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, “যাঁরা গান বা বক ্তৃতা দ্বারা দেশের জাগরণ আনতে চেষ্টা করেন তাঁর া সকলেই চারণ। আপনি, আমি, আমরা সবাই চারণ, তবে আপনি আমাদের সম্র Vì vậy, tôi xin lỗi.
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬) বস ্তুনিষ্ঠ জীবনী লেখার প্রয়াস চালিয়েছেন অনেকই ই। বিশিষ্ট গবেষক মোরশেদ শফিউল হাসান বর্ণাঢ্য কব িজীবনকে সব শ্রেণির পাঠকের জন্য সহজ করে, প্রামা ণ্যতা অক্ষুণ্ন রেখে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন তাঁর নজরুল জীবনকথা বইয়ে। ৩২টি অধ্যায়ে সাতাত্তর বছরের এক মহাজীবনকে তি নি ধাপে ধাপে বর্ণনা ও ব্যাখ্যা করেছেন।
নজরুলের জন্মগ্রাম চুরুলিয়ার নিকটবর্তী সাঁও তাল পরগনার বিদ্রোহী প্রতিবেশকে লেখক বিদ্রোহী নজরুলের প্রাথমিক চেতনাভূমি হিসেবে শনাক্ত করে ন:
‘নজরুলের জন্মের দশ বছর আগেই এই অঞ্চলে ঘটে মুন্ ডা বিদ্রোহ। এসব বিদ্রোহের গল্প ও গান চুরুলিয়া ও এর আশপাশ ের অঞ্চলের, বিশেষ করে একটু বেশি বয়সী মানুষের ম ুখে মুখে ফিরত। বিদ্রোহী কবি নজরুল তাঁর ছোটবেলায় এসব লড়াই-স ংগ্রামের গল্প শুনেছেন বলে মনে হয়। তাঁর মনের গঠনে নিশ্চয়ই তা কমবেশি প্রভাব ফেলে ছিল।
শিয়ারশোল স্কুলের দুজন শিক্ষক-সতীশচন্দ্র কা ঞ্জিলাল ও হাফিজ নূরন্নবীর কথা আমাদের বিশেষভাব ে মনে করিয়ে দেন লেখক; যাঁদের কাছ থেকে হিন্দুপুরাণ ও মুসলিম ঐতিহ্যে র সমন্বয়ী সুর উপহার পেয়েছেন কবি।
এ বছরের ডিসেম্বরে নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা রচন ার শতবর্ষ পূর্ণ হবে। ১০০ বছর আগে এই কবিতা লেখার সেই স্মরণীয় রজনী য েন ছবির মতো অক্ষরে এঁকেছেন মোরশেদ শফিউল হাসান:
বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির যে ঘরটিতে নজর ুল ও মুজফফর আহমদ থাকতেন, সেখানে বসেই ১৯২১ সালের বড়দিনের ছুটির সময় এক রাতে নজরুল তাঁর “বিদ্রো হী” কবিতাটি লেখেন। কবিতাটি তিনি প্রথমে লেখেন পেনসিল দিয়ে। সেকালে সেকালে ফাউন্টেন ছিল ছিল না।।।।। দোয়াতে বারবার কলম ডুবিয়ে লিখতে হতো। মুজফফর আহমদের মতে, এভাবে লিখতে গিয়ে পাছে তাঁ র ভাবনায় ছেদ পড়ে, তাই নজরুল পেনসিল দিয়েই পুর ো কবিতাটি লিখেছিলেন।
এ বছর নজরুলের কুমিল্লা আগমনেরও শতবর্ষ। তাঁর জীবন ও সৃষ্টিতে ‘কুমিল্লা’ এক বিশিষ্ট অধ্ যায় হয়ে আছে। ১৯২১ সালে কয়েক দফা কুমিল্লা আগমন ও অবস্থান, দ ুই ভুবনের দুই নারী—নার্গিস ও প্রমীলার সঙ্গে সহ ৃদয় সংযোগের পাশাপাশি তৎকালীন কুমিল্লার বিপ্ল বী আবহে লেখক তুলে ধরেছেন নজরুল ইসলামকে:
সময়টা তখন অসহযোগ আন্দোলনের। মহাত্মা গান্ধীর ডাকে সারা দেশে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সে আন্দোলনের ঢেউ ত্রিপুরার মহকুমা শহর কুমিল্ লাতেও এসে লেগেছে। নজরুলকেও এ সময় রাজনৈতিক নানা সভা-মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেল। মিছিলের সামনে গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে নিজ ের লেখা গান গাইতে গাইতে শহর প্রদক্ষিণ করছেন তিদ ি। Bạn có thể nói như vậy:
Xin chào! Xin chào!
ফিরে চাও ওগো পুরবাসী
সন্তান দ্বারে উপবাসী
লেখক নজরুলের জীবনী লিখতে গিয়ে তাঁর সমসাময়ি ক কাল সম্পর্কেও সম্পূর্ণ সচেতন। তাই ধূমকেতু পত্রিকায় ১৯২২-এর ১৩ অক্টোবর ভারত ের পূর্ণ স্বাধীনতা চেয়ে লেখা নজরুলের সম্পাদক ীয় প্রবন্ধের কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি উর্দু ক বি ও রাজনীতিক হসরত মোহানির প্রসঙ্গ, যিনি এর আগে ১৯২১-এর ডিসেম্বরে একই দাবি উত্থাপন করেছিলেন:
‘যত দূর জানা যায়, বাঙলা দেশে নজরুলই প্রথম, এমনক ি সমগ্র ভারতবর্ষেও মওলানা হসরত মোহানির পর দ্ব িতীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, যিনি প্রকাশ্যে পূর্ণ স্ বাধীনতার দাবি জানান।’
হুগলিতে বসবাসকালে হুগলি, নৈহাটির শ্রমিকদের ক বিতা পড়ে শোনানো, তাঁদের শ্রান্তি বিনোদনের জন্ য বাংলা ও হিন্দি গান গাওয়া, চটকল শ্রমিকদের ধর্ মঘটের সমর্থনে মিছিলে নামার তথ্য প্রমাণ করে নজ রুল শুধু লেখাতেই নয়, বাস্তবেও ছিলেন মাটির কাছা কাছি কবি।
নজরুলের প্রাণছোঁয়া অনুবাদ বিষয়ে লেখকের পর Ví dụ: ‘এই অনুবাদটি করার সময় নজরুল ইউজেন ্ততন তিয়েরের লেখা মূল ফরাসি গানটির কিংবা তার ইংরে জি বা অন্য কোনো অনুবাদের নোটেশন বা স্বরলিপি দেখ ার সুযোগ পাননি। তার পরও নজরুলের অনুবাদ সম্পর্কে মুজফফর আহমদ ব Ví dụ: “বাংলা ভাষায় সর্বোৎকৃষ্ট তো বটেই, আমার ব িশ্বাস ভারতীয় ভাষাগুলিতে যতসব অনুবাদ হয়েছে সে-সবের সেরা”।’
নজরুল-জীবনের অনেক অজ্ঞাত বা স্বল্পজ্ঞাত তথ্য ের সমাহার এই বই। যেমন ১৯২৯ সালে এক কৃষক সম্মেলনে কুষ্টিয়া সফর কালে চারণকবি মুকুন্দ দাসের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ও সখ্যের বিবরণ পাই: ‘নজরুলের কুষ্টিয়া অবস্থান কালীন কুমারখালীতে তাঁকে একটি সংবর্ধনা দেওয়া হয়। চারণকবি মুকুন্দ দাস সে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপ স্থিত ছিলেন। সংবর্ধনার উত্তরে দেওয়া বক্তৃতায় নজরুল মুক ুন্দ দাসকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, “যাঁরা গান বা বক ্তৃতা দ্বারা দেশের জাগরণ আনতে চেষ্টা করেন তাঁর া সকলেই চারণ। আপনি, আমি, আমরা সবাই চারণ, তবে আপনি আমাদের সম্র Vì vậy, tôi xin lỗi.
Xem thêm